নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব মো. জোবায়ের হোসেনএর বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
গতকাল রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেনের ও তার সহযোগী শাহাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহনুর আলম বলেন, ভিকটিম গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। খুব শিগগিরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ওই গৃহবধূ রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় চার মাস আগে পার্শ্ববর্তী চর সেকান্দর গ্রামের এক রিকশা চালকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এখন তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শাশুড়ির অসুস্থতার কথা শুনে ২০ জানুয়ারি দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে হেঁটে তিনি শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চর সেকান্দর গ্রামের মৌলভী বাজারের সামনে সুফিরহাট-বাংলাবাজার পাকা রাস্তায় পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেন তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের পেছনের কক্ষে জোরপূর্বক তাকে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। ঘটনার সময় অপর অভিযুক্ত শাহাদাত বাইরে পাহারা দিচ্ছিল।
অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেন রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্দর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার পুত্র। অপর অভিযুক্ত শাহাদাত একই এলাকার সাহা উদ্দিনের পুত্র।
শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেন বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মো. জোবায়ের হোসেনকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে মো. জোবায়েরের সঙ্গে কথা আমি বলেছি। তবে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। ঘটনাটি নিয়ে দলীয়ভাবে তদন্ত কমটি গঠন করা হবে। অভিযোগ সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।