হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় মোঃ শহিদুল দেওয়ান (৩৫), এক ব্যবসায়ীকে তার প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভিকটিমের পরিবার। এই ব্যবসায়ীকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নেওয়ার পর থেকে ৪দিনে ঢাকা ডিবি কার্যালয়, উত্তরা র্যাব, নবীনগর র্যাব—৪, সাভার ডিবি ও আশুলিয়া থানায় খোঁজখবর নিয়ে তার সন্ধান না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে অবশেষে ভিকটিম শহিদুল দেওয়ানের পরিবার ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় ডেকো গার্মেন্টস সংলগ্ন ভিকটিম শহিদুল দেওয়ানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একটি দোকানের সামনে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং) সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজ হওয়া ভিকটিমের বাবা শাহে আলম দেওয়ান ও তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ সাদা রং একটি হাইচ গাড়িতে ৭—৮জনের সাদা পোশাকদারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (ডিবি পুলিশ) পরিচয় দিয়ে শহিদুল দেওয়ানকে তুলে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এসময় শহিদুল দেওয়ানের দোকান বন্ধ করে রেখে গেছে তারা।
ভিকটিম শহিদুল দেওয়ান শরিয়তপুর জেলার ঘোসাইরহাট থানার ইকরাকান্দি গ্রামের শাহে আলম দেওয়ানের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার নয়াপাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিন মার্কেটে রাস্তার সাথে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে মুদি মালামাল, সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল বিক্রি করতেন এবং বিকাশসহ বিভিন্ন ব্যবসা করতেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ ভিকটিম শহিদুল দেওয়ানের মামাতো ভাই রিয়াজ উদ্দিন জানান, প্রতিদিনের মতো আশুলিয়ার নয়াপাড়া মোসলেম উদ্দিন মার্কেটে শহিদুল তার দোকানে বেচা—বিক্রি করছিল, হঠাৎ ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার দোকানে ৭—৮জন হানাদেয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি সাদা রংগের হাইচ মাইক্রোবাসে করে তারা ৭—৮জন নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শহিদুলের দোকানে ঢুকে তল্লাশি করে এবং শহিদুলকে দ্রুত গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়, এরপর ঢাকা উত্তর ডিবি, রাজধানী ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় ও উত্তরা র্যাব ও নবীনগর র্যাব—৪ ও আশুলিয়া থানায় খবর নিয়ে কোথাও শহিদুলের সন্ধান পাইনি। আশুলিয়া থানায় জিডিও নেয়া হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।
উক্ত নিখোঁজ ভিকটিমের প্রতিষ্ঠানের সামনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ শহিদুল দেওয়ানের বাবা শাহে আলম, ভিকটিমের ভাই সাইফুল দেওয়ান, ভিকটিমের স্ত্রী, মেয়ে মোছাঃ সাদিয়া (১১), ছেলে আব্দুর রহমান (০৩)। ভুক্তভোগী সবাই শহিদুল দেওয়ানকে ফিরে পেতে চায়। এসময় শহিদুল দেওয়ানের মেয়ে ও শিশু ছেলে এবং স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন, তারা কথা বলতে পারেন না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলেন, শহিদুল দেওয়ান নামে কেউ আটক হয়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।