গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
সরবরাহ কমে যাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে সে ুরি পার করলো দেশীয় পেঁয়াজের দাম। পাঁচ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী) প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই পেঁয়াজ আজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।নিম্মআয়ের মানুষেরা বলছেন,পেঁয়াজের যে দাম তাই আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন,কৃষকের কাছে পেঁয়াজ শেষ হয়ে আসছে,বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এদিকে পাইকারী,খুচরা বিক্রেতা ও সাধারণ ক্রেতারা দাবি জানান,যে দেশ থেকেই হোক পেঁয়াজ আমদানি করা হোক। পেঁয়াজ আমদানি না করলে দাম আরও বাড়বে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আকবর আলী বলেন, আমি গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী ) প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনেছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। আজ শনিবার পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।দাম বেশি তাই ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনলাম।
আরেক পেঁয়াজ ক্রেতা ফয়সাল বলেন,আমি দিনমজুরি কাজ করি,দিন দিন জিনিসপত্রে যে ভাবে দাম বাড়ছে তাতে আমাদের চলা খুব কষ্টর হয়ে পড়েছে।আমি সারাদিন কাজ করে ৫ শত টাকা পাই। এ টাকা দিয়ে চলে না।
পেঁয়াজ কিনতেই ১১০ থেকে ১২০ টাকা চলে যায়। ৩৮০ টাকা দিয়ে চাল কিনবো না অন্যান্য তরকারী কিনবো। আমার মতো নিম্মআয়ের মানুষেরা পড়ে যায় বিপাকে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন,আমরা পাইকারী ১০৭ থেকে ১০৯ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।পাইকারীরা বলছেন মোকামেই পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসতেছে। তাই দাম বাড়ছে।
হিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, গত শুক্রবার )২ ফেব্রুয়ারী ও শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারী) আমরা প্রকাভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। গেলো রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী) সেই পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। হঠাৎ গতকাল শুক্রবার থেকে মোকামেই দাম বেড়ে যায়। মোকামেই ৪ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। এরপর পরিবহন খরচ আছে।সবকিছু বাদ দিয়ে আমাদের ২ থেকে ৩ টাকা লাভ থাকে। মোকামেই কিনতেই পড়েছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি। আমরা পাইকারী বিক্রি করছি ১০৭ থেকে ১০৯ টাকা। আর খুচরা বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আর বলেন,ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করলে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভবনা নেই।
প্রসঙ্গগত: অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষনা করেন ভারত সরকার। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।