হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার নরসিংহপুরে ক্যাফে ষ্টার রেষ্টুরেন্ট এন্ড কাবাব দোকানের কর্মচারী কতৃর্ক সাত বছরের এক শিশু মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা, এই অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব—৪ এর একটি আভিযানিক দল। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে, মামলা নং ১২। তারিখ: ০৬/০৩/২০২৪ইং, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩এর ৯ (৪) (খ)।
বুধবার মামলার এজাহার ও ভিকটিমের বাবা বাদী সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ ২০২৪ইং দুপুরে মাদ্রাসা থেকে তার বাবার মুদি দোকানে আসার পর খাবার শেষে দোকান থেকে তাদের ভাড়া বাসায় যাওয়ার সময় পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একা বাসায় ফেরার সময় বিবাদী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান (৩৭) মেয়েটির পিছু নিয়ে ভুল—ভাল বুঝাইয়া নরসিংহপুর সাকিনস্থ ভিকটিমের বর্তমান বাসার পশ্চিম পার্শ্বের গলিতে নিয়ে বিভিন্ন লোভ—লালসা দেখিয়ে বিকাল ৫টার দিকে ভিকটিম (৭)কে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভিকটিমের বাবা বলেন, আমার মেয়ের ডাক—চিৎকারে আশেপাশের লোকজনসহ আমার ছেলে ঘটনাস্থল থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে, এসময় ধর্ষণ চেষ্টাকারী মিজান কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পুলিশ ও র্যাবের কাছে মামলা করার জন্য এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন ভিকটিমের বাবা।
মঙ্গলবার ৫মার্চ দিবাগত রাত ৯টার দিকে ভিকটিমের বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়ে দ্রুত সময়ে সাভারের নবীনগর ক্যাম্প র্যাব—৪, সিপিসি—২ এর গোয়েন্দা চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, বিবাদী মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৩৭), এলাকায় অবস্থান করছে, এরপর র্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উল্লেখিত আসামী মিজানকে গ্রেফতার করে রাতেই আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেন।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মিজানুর রহমান মিজানকে র্যাব—৪ কতৃর্ক আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেছেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে তাকে আদালতে পাঠানো হয় এবং ভিকটি কে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এই ধর্ষণচেষ্টাকারী মিজানুর রহমানের কর্মস্থল হোটেল মালিক জাফর তার কর্মচারী মিজানকে রক্ষা করতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, এর মধ্যে র্যাব ওই আসামী মিজানকে গ্রেফতার করে।