হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় এক পোশাক শ্রমিকের লাশসহ পৃথক দুইজনের লাশ উদ্ধার, এর মধ্যে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ রয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে ২০১৪ইং) সকালে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দেন যে, অজ্ঞাত একজন মধ্য বয়সী নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে, এরপর এক যুবকেরও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে এসে পৃথক দুইটি লাশ উদ্ধার করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় গত রাত ১১টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট সড়কে মোটরসাইকেলে চাপা দিলে এক নারী গুরুতর আহত হন, রাতেই আহত নারীকে আশুলিয়ার সরকার মার্কেটে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন, সেখানে ওই নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন, তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চিপাগলিতে ও ফাঁকা জায়গা নিয়ে যাওয়া হয় বিষয়টি রহস্যজনক। অনেকেই ধারণা করছেন যে, ওই নারীর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে এই কর্মকাণ্ড করেছে, পুরোপুরি রহস্যজনক ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অ্যাম্বুলেন্স গাড়িটির ড্রাইভার ছিলেন মোঃ ফেরদৌস ও রাসেল। তাদের গাড়ি ভাড়া ৬ হাজার টাকা। মোটরসাইকেল চালক ও ড্রাইভার হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যেতে পারে, তারা ভিকটিম নারীর মোবাইলে থাকা সকল নাম্বার ও তথ্য লোপাট করেছে, তাই অজ্ঞাত এই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে পোশাক শ্রমিক নিহত মোঃ জাবেদ আলী (৩৮) এর স্ত্রী মোছাঃ আরিফা বেগম বলেন, তার স্বামীর কোনো রোগ ছিলো না, হঠাৎ কি হয়েছে জানিনা, স্থানীয়রা জানায়, কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ি খান স্টোরের সামনে থেকে লোকজন জাবেদকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন, ভিকটিম জাবেদ আলীর কপালে মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, ঘাড়ভাঙ্গা। অনেকেই জানান, খান স্টোর ভিকটিমের কাছে কিছু টাকা পাওনা রয়েছে, সেখানে মারপিটের ঘটনা ঘটতে পারে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা বলেন, আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সংবাদের ভিত্তিতে একজন অজ্ঞাত নারী ও একজন পোশাক শ্রমিকের লাশসহ পৃথক ২টি লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।