হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ধামসোনা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ভাদাইল পূর্বপাড়া মোতালেব মিয়ার নির্মাণাধীন বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে ফারজানা নামে এক মেয়ের লাশ পাওয়া যায়।
রবিবার (১৪জুলাই২০২৪) দুপুরে আশুলিয়া ভাদাইল পূর্ব পাড়া মোতালেব মিয়ার বাসার সেপটি ট্যাংকির ভিতরে ফারজানা (০৮) নামে মেয়েটির অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। এরপর তাকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উক্ত ভিকটিম শিশু রংপুর পীরগাছা সেচাকান্দির মো মানিক মিয়ার মেয়ে ফারজানা (০৮), আশুলিয়ার ভাদাইলে ইদ্রিস মোল্লার বাসায় নানির বাসায় বেড়াতে এসে এই ঘটনা ঘটে।পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা সবাই এখন ভারসাম্যহীন শোকাবহ তাই তারা কোন কথা বলতে পারতাছেন না।
এলাকাবাসী জানায়, ভিকটিমের পরিবারের আত্মচিৎকারে জানতে পারে, তাদের সাথে মেয়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে তার সামনের বাড়ি মোতালেব এর নির্মাণাধীন ভবনের পানির ট্যাংকির সামনে মেয়ের পায়ের জুতা দেখতে পেলে সবাই ধারণা করেন সেপটি ট্যাংকির ভিতরে থাকতে পারে। তখন ৯৯৯ জাতীয় সেবা ফোন নাম্বারে কল দিলে ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী ধারণা করছেন বাড়িওয়ালা মোতালেব এর অসাবধানতার কারণে এতো বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বাড়িওয়ালা বিষয়টি এড়িয়ে যাযন। এতো বড় সেফটি ট্যাংকির নিরাপদ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সেপটি ট্যাংকি খোলামেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন যে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে পানির ট্যাংকিতে ফেলে দিতে পারে কেউ।
উক্ত শিশু ফারজানা (০৮)কে হত্যা করে ট্যাংকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে কিনা তা তদন্ত চলছে আর ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়। পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।