সরদার কালাম কলারোয়া: দেশের শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন সড়ক জনপদ ব্রীজ এবং দেয়াল লিখন ও আলপনা এঁকে চলেছে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতিতে দেশের নিত্যপন্যের বাজার মনিটরিং, সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে অনিয়ম ঘুস দুর্নীতি অবৈধ সিন্ডিকেটসহ নানা বৈষম্য ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু করেছে তারা। এছাড়া হাট বাজার রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দেশকে নতুন সাজে সাজিয়ে তুলছে শিক্ষার্থীরা । কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা, নির্বিচারে গ্রেফতার ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় সারাদেশের ন্যয় সাতক্ষীরা কলারোয়ায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সড়ক জনপদ ব্রীজ রাস্তা ও দেয়াল লিখন, গ্রাফিতি অঙ্কন এবং নানান আলপনার কাজ চলমান রয়েছে। ৫ ই আগষ্ট বিগত আ. লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগে দেশ ছাড়ার পরবর্তী অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠনের পর থেকে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা দেশের শহরসহ বিভিন্ন প্রান্তে এসব কার্যক্রম শুরু করে। গেলো সোমবার (১২ আগস্ট) ও পরবর্তী সময়ে উপজেলার দেয়াড়াসহ আশপাশের এলাকায় দিনভর ব্রীজ রাস্তাসহ ফাঁকা দেয়ালগুলোতে তাদের আঁকা – লেখনী – আগামী প্রজন্ম হও সোচ্চার, ফিরিয়ে দিতে ন্যায্য অধিকার, পানি লাগবে পানি এমন নানা প্রতিবাদী স্লোগানে বিভিন্ন লেখা ও চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। এর আগে বাজার ব্রীজ ও বিভিন্ন রাস্তা পরিচ্ছন্নের কাজ করে তারা। এতে সাধারণ মানুষও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে নানাভাবে সহযোগিতা এবং ভূয়সী প্রশংসা করছেন । সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা খোরদো বাজার ব্রীজসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অঙ্কনের মাধ্যমে সম্প্রতি দেশের অবস্থাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মানবতার সেবায় (রক্তদান সংগঠন) নিয়োজিত সেচ্ছাসেবক জিএম তুহিন রহমানসহ অন্যান্যরা বলেন, সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা গ্রাফিতি, রাস্তা ব্রীজ ও দেয়াল লিখনের কাজ করছি এবং চলমান রয়েছে। এখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের ছাত্র ভাইদের ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে সেই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া আরো বলেন, আমরা দেশে কোনো বৈষম্য চাই না অশান্তি চাই না অন্যায় অসঙ্গতি চাই না। বাংলাদেশে আমরা সবাই মিলেমিশে বসবাস করতে চাই শান্তি চাই। কেউ যদি কোনো রকম অরাজকতা সৃষ্টি করে এবং কারো উপর অন্যায় অত্যাচার করে আমরা ছাত্র সমাজ দেশের কল্যাণে মানুষের কল্যাণে আবারও রুখে দিতে রাজপথে নামব যোগ করেন জিএম তুহিন রহমানসহ এলাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য ছাত্ররা। এদিকে সমাজের শান্তিপ্রীয় মানুষ ও শুশিল সমাজ তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ছাত্ররা সংক্ষিপ্তভাবে হলেও তাদের গ্রাফিতি কর্মসূচি পালন করছে। আমরা তাদের এ শান্তিপূর্ণ ও সৃজনশীল প্রতিবাদ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানাই। তাদের ভিন্নধর্মী সাহসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ছাত্ররা তাদের সহপাঠীদের হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে এবং দেশের কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে রং তুলির মাধ্যমে যে প্রতিবাদ জানিয়েছে তা অত্যন্ত গঠনমূলক ও সৃজনশীল। পরবর্তী কেউ যেন আর কর্তৃত্ব দেখাতে গিয়ে জুলুম অন্যায় অত্যাচারে দেশ ও মানুষের মাঝে অশান্তি ও বৈষম্য সৃষ্টি না করতে পারে সেই লক্ষ্যে-দেশ ও মানুষের সার্বিক কল্যাণে তাদের এ জেগে ওঠা অব্যহত রেখে, আগামীতেও কল্যাণ মূলক কাজ করে যাওয়ার আহ্বানে ছাত্র সমাজকে ধন্যবাদ দিচ্ছে সমাজের শুশিল এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।