আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জে নন – এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করণ করার লক্ষে স্মারকলিপি প্রদান এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বেলা১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নন – এমপিও ভুক্ত নন – এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট লিটুস লরেন্স চিরান এর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন দাবী গুলো অবগত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন, নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা’র সভাপতি মোঃ আবু ছাইম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রায়হান কবীর এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ- সভাপতি মমিনুল হক, মোঃ আতিকুল ইসলাম, মোঃ নাজমুল হুদা, মোঃ নাজির হোসেন, অপূর্ব কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তারেক হাবিব, সহ- সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার বর্মন মোঃ বুলবুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মমিন মোঃ উজ্জ্বল হোসেন, মোঃ তাওহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুনবী, অর্থ সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান খান, সহ- অর্থ সম্পাদক মোঃ হাসান উল রানা, প্রচার সম্পাদিকা মোছাঃ জান্নাতুন নাইম, সহ- প্রচার সম্পাদিকা বিউটি সরকার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান, সহ- দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আতাউর রহমান, মোঃ রুবেল রানা প্রমুখ, মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়া সরকারি, এমপিও নন- এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র নন- এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক – কর্মচারীগণ বেতন- ভাতা থেকে বঞ্চিত এবং চরমভাবে বৈষম্য শিকার। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপননের বয়স ২৫ বছর বা তার চেয়েও বেশি। অনেক শিক্ষক – কর্মচারী বিনা বেতনে অবসর গেছেন, কেউ কেউ বেতন বিহীন অবস্থায় রোগে শোকে মৃত্যুবরণ করেছেন। এমপিওভুক্ত একটি চলমান প্রক্রিয়া সরকার প্রতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করবেন। দুঃখের বিষয় বিগত সরকার নির্বাহী আদেশে কিছু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্তি হতে বঞ্চিত করেছেন। প্রতিবছর বাজেটে নন- এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও অদৃশ্য কারণে এমপিওভুক্তিকরণ বন্ধ রাখা হয়। আমরা বেতন বিহীন শিক্ষক কর্মচারীরা দুর্ভক ও দুর্দশা বঞ্চনার সাথে বৈষম্যের কথা বিবেচনা করা প্রয়োজন।