নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যায় ও টানা বর্ষনে রায়পুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ অঞ্চলের সড়কগুলোর।
এর মধ্যে রায়পুরের বর্ডারবাজার থেকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বর্ডার বাজার পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
গর্ত সৃষ্টি হয়েছে কয়েক শতশত। বন্যা, বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এতে সীমিত হয়ে পড়েছে যান চলাচল, বেড়েছে জনভোগান্তি।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ অফিস জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলার তত্ত্বাবধানে থাকা রায়পুরসহ ১৮টি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিটুমিন উঠে কোথাও কোথাও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রায় একুশটি জেলার সাথে যান চলাচল অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়েছে। শুধু যাত্রীবাহী বাসই নয়, পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা জরুরি সেবা সার্ভিসের গাড়িগুলো নানা ভোগান্তি নিয়ে সীমিত পরিসরে চলাচল করছে। এ সড়কগুলোতে ক্ষুদ্র সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রায়পুর উপজেলার বর্ডারবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ভোলা আঞ্চলিক সড়কটির জেলার সীমান্তবর্তী থানা চন্দ্রগঞ্জের বর্ডারবাজার পর্যন্ত ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়। কোথাও বিটুমিন ওঠে সড়কে পাথরের কণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। একই দশা চাঁদপুরের মহাসড়ক পর্যন্ত।
লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা, ফেনী ও চট্টগ্রামগামী বেশ কয়কজন যাত্রী জানায়, ঢাকা যেতে চার ঘণ্টা সময় লাগলেও সড়কের বেহাল দশার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। একই কথা বলেন অন্য গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরাও।
লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী কয়েকটি যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের মালিক ও চালক জানান, এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যা। চারদিকে যে পরিমাণ পানি উঠেছে আঞ্চলিক মূল সড়কটিও তলিয়ে গেছে। কয়েকদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও পানির কারণে সড়কের বিটুমিন উঠে যায়। এতে সড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, বন্যার কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়কগুলোর কিছু অংশ ক্ষুদ্র সংস্কার করা হলেও স্থায়ী মেরামতের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃ
পক্ষকে জানানো হয়েছে।