জাহিদ আল হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জামায়াতে ইসলামীর গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকালে উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর ঢাকার পল্টনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি বৈঠার নির্মম আঘাতে জামায়াত-শিবিরের ২৬ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ১৬বছর পর জামায়াতের বিশাল গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
উলিপুর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে গণজমায়েতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসের সুরা সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ আব্দুল ফারুকী, সেক্রেটারী মাওলানা নিজাম উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ শাহাজালাল (সবুজ), আব্দুল হামিদ, শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল সরকার, জেলা প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের পৌর আমীর আঃ সবুর খান,জেলা শ্রমিক কল্যাল ফেডারেশনের সভাপতি ও কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী। এ সময় গণজমায়াতে লন্ডন থেকে ভিডিও করফারেন্সে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ব্যারিষ্টার মাহবুব সালেহী।
বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর ঢাকার পল্টনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি বৈঠার নির্মম আঘাতে জামায়াত-শিবিরের ২৬ জন নেতাকর্মীকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই নির্মম হত্যাকান্ডের কোন মামলা বা বিচার হয়নি। গত ১৬ বছরে আমরা কোথাও সমাবেশ করতে পারেনি। যার ভয়ে আমরা সমাবেশে করতে পারিনি সেই খুনি আ’লীগ সরকার পালিয়ে ভারতে গেছেন। আমরা তাকে আর বাংলাদেশে দেখতে পাইনা। যে বউ পালিয়ে যায়, সে বউ নিয়ে আর সংসার করা যায় না। এ সময় তারা খুনি হাসিনা ও তার সঙ্গীদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবী জানান। সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় জামাত শিবিরের নেতা কর্মীদের লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে নিহতদের লাশের উপর তারা নিত্য করেছিলো। তখন থেকে বাংলাদেশ পরাধিন হয়েছিলো। জুলাই আগষ্টে তৌহিদি জনতার ও ছাত্রদের আন্দলোনে ফ্যসিস্ট সরকার দেশ ছেরে পালিয়েছেন। দেশ আবার স¦াধীন হয়েছে। এ কারণে জামায়াতে ইসলামী আজকে মুক্তভাবে সমাবেস করতে পারছে।