নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার বাজারে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেএসডি’র রামগতি উপজেলা কমিটির আয়োজনে আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক কর্মজীবী পেশাজীবী জনগণ এক হও এ স্লোগানে জে এস ডি ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে রামগতি উপজেলা জেএসডির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি লক্ষ্মীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ বাবুল, এসময় বক্তব্য রাখেন রামগতি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুব পরিষদের হান্নান হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম ফাহিম, হাছিবুল ইসলাম রিয়াজসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেএসডির ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ মীর মুগ্ধ সহ সকল শহীদদের স্মরণ করে আত্মার শান্তি কামনা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
এসময় নেতাকর্মীরা বলেন, দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার যে কোন ষড়যন্ত্র দেশবাসী রুখে দাঁড়াবে। তার জন্য আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’
তারা আরো বলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার দিন থেকে দলের আদর্শ ও কর্মসূচী ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রম এগিয়ে নিতে গিয়ে এ দলের হাজার হাজার নেতা কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। শিকার হতে হয়েছে জেল- জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনে অনেক নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা জেএসডি’র সেই সব নেতৃবৃন্দ কে পরম শ্রাদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
জুলাইয়ের রক্তস্নাত ছাত্র গণঅভ্যুত্থান এদেশে বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার রাজনীতিকে আবার এগিয়ে নেবার সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে অংশীদার কোনো কোনো শক্তির মাঠ দখল করার ও শক্তি দেখাবার অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকান্ডের কারণে পরিস্থিতি মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে। যার যার রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করা দোষের কিছু নয়, কিন্তু গণতান্ত্রিক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নিজের আদর্শ ও রাজনীতি গায়ের জোরে অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেবার প্রবণতা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক।
এ ধরণের আত্মঘাতী প্রবণতা পরিহার না করলে সংগ্রামকালীন ঐক্য বিনষ্ট হবে ও ভিন্ন নামে ফ্যাসিবাদের বিপদ সৃষ্টি হবে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে বিদায়ের পর নতুন নামে নতুন কোন ফ্যাসিবাদকে এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।’