জাহিদ আল হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কয়েক ঘন্টা পরই কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। ওই সদস্যের নাম মাজু ইব্রাহিম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে ছিলেন। তিনি তার নিজ নামের একটি ফেসবুক আইডির ওয়ালে কমিটি থেকে পদত্যাগ করার পোস্ট করেছেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাজু ইব্রাহিম। মাজু ইব্রাহিম তার ফেসবুক আইডির ওয়ালে লিখেছেন, আমি মাজু ইব্রাহীম, আমি আজ (সদ্য) প্রকাশিত কুড়িগ্রাম জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের- কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। আমি ব্যাক্তিগত কারনে কুড়িগ্রাম জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য পদ থেকে স্বজ্ঞানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি বা সরে যাচ্ছি।
পদত্যাগের বিষয়ে মাজু ইব্রাহিম বলেন, পারিবারিক কারণ ও সামনে আমার পরিক্ষা তাই নিজে থেকে স্বেচ্ছায় এ পদ থেকে নিজে সরিয়ে নিয়েছি। ভাবছি প্রয়োজন হলে লিখিত পদত্যাগ পত্র জমা দিবো।
জেলা কমিটির আহবায়ক আবদুল আজিজ নাহিদ জানান, মাজু ইব্রাহিম আমাদের কাউকেই বলেননি, উনি নিজের জায়গা থেকে সরে গেছেন কিন্তু কেনো গেছেন সেটা আমরা জানা নেই। আমাদের একটা গঠন্তন্ত্র সামনে আসবে, সামনে নির্দেশনা আসবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে, শুক্রবার(২৯ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংগঠনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত ২৩১ সদস্য বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেলা আহবায়ক কমিটি ছয় মাসের জন্য অনুমোদন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলার কমিটিতে আবদুল আজিজ নাহিদকে আহ্বায়ক, ফয়সাল আহমেদ সাগরকে সদস্যসচিব, সাদিকুর রহমানকে মুখ্য সংগঠক ও জান্নাতুল তহুরাকে মুখপাত্র করা হয়েছে।
এই কমিটিতে ১২ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৮ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৩২ জনকে সংগঠক ও ১৬৫ জনকে সদস্য করা হয়েছে। এই কমিটিতে চিলমারী উপজেলার ১১জন সদস্য রয়েছেন।