নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলা পশ্চিম বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সোহেলের বিরুদ্ধে নিজ দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ এনে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তার কমিটির অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম স্বপন।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের কাচারি বাড়ি এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় দালাল বাজার খোয়া সাগর দীঘির পাড়ে একটি বৈঠকখানায় ভুক্তভোগী স্বপনকে ডেকে নেয় অভিযুক্ত সোহেল চেয়ারম্যান।
সেই বৈঠকখানায় জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে দুইজনে তর্কবিতর্ক জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি স্বপনকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। হুমকি-ধামকি দেয় এ নিয়ে ভাড়াবাড়ি করলে ফের তুলে নিয়ে মারধর করবেও বলে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বিগত ১৪ বছর সোহেল চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের দোষর হয়ে দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সালাহউদ্দিন টিপু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের উপনির্বাচনে পরিচালনা কমিটির লোক হয়ে সোহেল চেয়ারম্যান সকল কাজ বাস্তবায়ন করেছে।
অভিযোগ রয়েছে ২০১২/১৩ সালে দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদে আন্দোলনকারীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে। কিন্তু সোহেল চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের ইশারায় বিএনপি-যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
সম্প্রতি সোহেল চেয়ারম্যান একটি অনুষ্ঠানে জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য দিয়ে নানান সমালোচনায় মুখে পড়েন। সেই রেশ না কাটতে-কাটতেই এবার নিজ দলের নেতাকর্মীদের কাছে থেকে চাঁদা দাবি ও লাঞ্চিত করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটনের ভাগিনা সোহেল চেয়ারম্যান। এজন্য তার দাপটে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী অনেকটাই জিম্মি সোহেলের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর পশ্চিম বিএনপি যুগ্ম-আহবায়ক রাব্বি এলাহি জহির, সাইদুর রহমান চৌধুরী ভুট্টু, চররুহিতা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদ উদ্দিন মাষ্টার , জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মহিউদ্দিন পাটওয়ারী বিটু, সদর থানা তাঁতীদলের সাধারণ-সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন জিকু ও চররুহিতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের
সভাপতি আজিম চৌধুরী।