1. admin@sokalerbangla.com : সকালের বাংলা :
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরবাম:
২নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর অভিষেক। লক্ষ্মীপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে আইনজীবী হত্যা বিক্ষোভ মিছিল লক্ষ্মীপুরে ৮ মাসেই কোরআনে হাফেজ শিশু ওমর রাণীশংকৈলে আমন ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কামাল গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জে মাশরুমের গুরুত্ব ও উৎপাদন কৌশল বিষয়ক কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  কোডেকের উ‌দ্যোগে কৃষি উপকরণ বিতরণ রতনকান্দি ও বাগবাটি ইউপিতে সঠিকভাবে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণ জন্য পরিদর্শন করেন,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা  রাণীশংকৈলে রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্তকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

নড়াইলের চাষীরা চলতি মৌসুমে পাট চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে 

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৪৩ Time View
উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
চলতি মৌসুমে পাটের চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছে চাষীরা। বাজারে পাটের যে দাম তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। গত দুই মৌসুমে পাটের ভালো দাম পেলেও, এবার দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পাট চাষীরা। পাট বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না। তাই পাটের দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন চাষীরা। উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান,
পাট চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাট চাষে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে। মজুরি ব্যায়, সার, কীটনাশক ও বীজসহ চাষাবাদের খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে প্রতি বিঘা পাটের উৎপাদন খরচ প্রায় ১৪-১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হচ্ছে ৬ থেকে ৭ মণ। এক মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৯০০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা পাট চাষে লোকসান হচ্ছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
বাজারে পাটের দাম পড়তির দিকে, গত বছর এ সময় পাটের দাম ছিল শ্রেনী ভেদে ২ হাজার ৪শ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ। এক বছরের ব্যবধানে পাটের দাম প্রত মণে প্রায় এক হাজার টাকা কমেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন চাষীরা। উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে; যার বিপরীতে দুই লাখ ৭০ হাজার ১৪০ বেলপাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার মিটাপুর গ্রামের বাবু নামের নামের এক পাট চাষী বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে পাটের বীজ, সার, কীটনাশক, মজুরির ব্যায়, লিজ খরচ ও পুকুর ভাড়া দিয়ে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। পাট উৎপাদন হয়েছে ৬ মণ। ১৭০০ টাকা দরে ৬ মণ পাট বিক্রি করে ১০ হাজার ২০০ টাকা হয়েছে। আমার ৬ হাজার টাকা লোকসান। গত বছরের তুলনায় পাটের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমার মতো সকল পাট চাষীর লোকসান হচ্ছে। পাটের দাম বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। এসম তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যে ফসলে লোকসান সেই ফসল উৎপাদন বন্ধ করে দিবে কৃষক।
সদর উপজেলার ভবানিপুর কয়েকজন পাট চাষী বলেন, পাট চাষ করে আমাদের পোষাচ্ছে না। পাটের দাম গত মৌসুমের অর্ধেক। সকল পাট চাষীর লোকসান হচ্ছে। বাজারে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ পাট বিক্রি হচ্ছে। এবার পাটের চাহিদাও কম। ব্যবসায়ীরা পাটের প্রতি তেমন আগ্রহী না। পাট চাষিদের প্রতি সরকার নজর দিক, দাম বৃদ্ধি করে দিক। লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে আগামীতে আমরা পাট চাষ করতে পারবোনা।
পাট ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাট চাষী ও ব্যবসায়ীরা উভয়েই বিপাকে পড়েছে। কৃষকদের লোকসান হচ্ছে, খরচের টাকাও তুলতে পারছে না। গত বছরের চেয়ে দাম এ বছর প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। মিল মালিকরা পাটের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছো না।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, নড়াইলে প্রধানত ভারতীয় জে আর ও ৫২৮ জাতের পাটের আবাদ হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বি জে আর আই তোসা পাট ৮ জাতের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি যথাযথ পরিচর্যা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতায় এবার পাটের ভালো ফলনও হয়েছে। ফসলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক নানা চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পাট চাষ সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নিশ্চিত জরুরি। উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved , sokalerbangla.com
Theme Customized BY LatestNews