বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের দরগা পট্রি জেলা জামায়াতে ইসলামী দলীয় কার্যালয়ের সন্মুখ হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে শহরের মাড়োয়ারি পট্রি সড়ক, বাজার স্টেশন হয়ে এস.এস. রোড় সড়ক সহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা’র অ্যাডভোকেট ছাইদুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান হোসেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি মোঃ শহিদুল ইসলাম, শহর জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার উপদেষ্টা অধ্যাপক মোঃ আব্দুল লতিফ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মওলানা মোঃ মকবুল হোসেন প্রমুখ। এসময়ে শ্রমিক দিবসের এ র্যালিতে
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, অফিস সম্পাদক মওলানা মোঃ আসাদুল্লাহ মন্ডল, সদর উপজেলা সভাপতি মোঃ আবুল হাশেম, কামারখন্দ উপজেলা সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান, সিরাজগঞ্জ
শহর শাখা’র সভাপতি মওলানা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায় যে, আন্তর্জাতিক মে দিবস বা শ্রমিক দিবস মেহনতি শ্রমিকদের কাছে প্রেরণার দিন। ১৮৮৬ খ্রিঃ আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজ, ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম ও ৮ ঘণ্টা বিনোদনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল। সে আন্দোলনে সরকারের ইশরায় পুলিশ শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি ও হামলা চালিয়ে ইতিহাসে বর্বরোচিত হত্যাকান্ড রচনা করেছিলো। পরবর্তী শ্রমিক নেতাদের প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলন দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
ইতিহাস সাক্ষী তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশের গুলির ওপর শ্রমিকরা বিজয়ের সৌধ নির্মাণ করেছে। শ্রমজীবী মানুষরা তাদের দাবি আদায়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলেছে। আত্মত্যাগের নজরানা পেশ করেছে। তবুও অন্যায় ও জুলুমের কাছে মাথানত করেনি। শ্রমজীবী মানুষের এই আত্মত্যাগ আমাদেরকে সম্মান করতে হবে। বছরে একদিন শ্রমিক দিবসকে সীমাবদ্ধ করে রাখা যাবে না। শ্রমিক দিবসের তাৎপর্যকে ধারণ করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সকল জুলুম নির্যাতনের অবসান করতে হবে। রাজপথে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কণ্ঠকে উচ্চকিত করতে হবে।
শ্রমজীবী মানুষের ওপর চলা নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করতে এই দিন থেকে আমাদের প্রেরণা গ্রহণ করতে হবে। আগামী দিনে শ্রমিকদের অধিকার ও ন্যায্য দাবি আদায়ে শিকাগোর সংগ্রামের মত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা দেশবাসীসহ শ্রমজীবী মানুষদের এই দিনকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের আহ্বান করছি।