হেলাল শেখঃ বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা নিবিড়ভাবে মনিটরিং এর জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে। মনিটরিং সেলে আমি প্রত্যেকটি মামলার বাদী, ভুক্তভোগী, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলবো এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকার প্রতিটি থানা ফাঁড়ি, জেলা পুলিশ সার্কেল অফিসসহ পুলিশের সব কার্যালয়ে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে। ঢাকা রেঞ্জের ৯৮টি থানার সেবা মনিটরিং নিজেই করবো। সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার সব থানা হবে জনগণের।
রবিবার (১১ মে ২০২৫ইং) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এসময় রেঞ্জের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ যে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাচ্ছে, এর পেছনে যার অবদানের কথা না বললেই নয়, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রাচীন, অন্যতম বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ গঠিত হয়৷ ভৌগলিকভাবে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট।