1. admin@sokalerbangla.com : সকালের বাংলা :
  2. info.jahid307ulipur@gmail.com : jahid Hossain : jahid Hossain
  3. naiknajmul@gmail.com : Najmul Hossain : Najmul Hossain
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
শিরবাম:
আশুলিয়া থানায় নবনিযুক্ত (ওসি) হান্নান যোগদানের পর থেকে অপরাধীদের ঘুম হারাম! বেনাপোল বন্দরে ২০টি বাংলাদেশ পাসপোর্ট সহএক ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার আটক আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাস দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সফল অভিযান! কাস্টম হাউস বেনাপোল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় ৩১৬ কোটি . যশোর বোর্ডে এইচএসসি.ইংরেজি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ২৫২৩,বহিষ্কার দুই জন ঢাকার আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা! হিলিতে দু—মাস ব্যাপী কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্বোধন জুলাই-আগষ্টের শাহাদতের ঘটনা ইতিহাসের নজিরবিহীন অধ্যায় – মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম  যশোরে শুরু হচ্ছে ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই স্মৃতি’ উদযাপন উলিপুরে ফ্যাসিস্ট আ’লীগের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ‎

আশুলিয়া থানায় নবনিযুক্ত (ওসি) হান্নান যোগদানের পর থেকে অপরাধীদের ঘুম হারাম!

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান যোগদানের পর থেকে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসিরাসহ অপরাধীদের আমলনামাসহ বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। অপরাধ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সফল অভিযান, আর চলমান এই অভিযান প্রমান করছে রাষ্ট্র এখন আর অপরাধীদের সাথে আপোষ করে না। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো— শ্যুটার বাপ্পি ও তার দুই সহযোগীসহ তিনটি বিদেশী পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গুলি ম্যাগজিনসহ গ্রেফতার। আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শামীম শেখ ওরফে মুন্না শেখসহ আরও বেশকিছু সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ভাইরাল ওসি ডাবলু বিদায়—আশুলিয়া থানায় আসার দেড় মাসের মাথায় (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন ক্লোজ। এরপর নবনিযুক্ত আশুলিা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেব। গত ৫ আগষ্ট থেকে ১০ মাসে ৫জন ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনা সারাদেশে আশুলিয়া থানা আলোচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে আশুলিয়া থানা ওসি’র দায়িত্ব পালন করা অনেক কঠিন তার কারণ, এখানে একটি মহল তাদের সুবিদামতো ওসি কাজ না করলে বিভিন্ন অভিযোগে সেই ওসিকে ক্লোজ বা বদলি করায়। তবে কিছু (এসআই) মামলা বাণিজ্যসহ অনিয়ম করার কারণে ওসি’র জবাবদিহি করতে হয়। সেই সাথে ভুয়া বাদির ভুয়া মামলার কারণেও থানা পুলিশের বদনাম হয়। সবকিছু মিলিয়ে আশুলিয়ায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে একটি মহল।

বাংলাদেশ পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টিকারীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন এশিয়ান টিভি’র স্টাফ রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম খান (লিটন), সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশুলিয়া প্রেসক্লাব, আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) ও আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এম. এ হান্নান চৌধুরী এবং বিভিন্ন ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মিজান ও জাহাঙ্গীর শ্রমিক নেতা কতৃর্ক চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে গিয়ে সাংবাদিক সাব্বির ও সাংবাদিক রাসেলকে প্রাণনাশের হুমকি প্রধান করে। আশুলিয়ায় গত (৭ মার্চ ২০২৫ইং) সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হোন ২ সাংবাদিক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার ক্রাইম জোন এলাকা রূপায়ন মাঠের পাশে পাবনারটেক এলাকায় শুক্রবার দুপুরে একটি ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাই টিভি’র জার্নালিস্ট হাফিজুর রহমান ও দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম অনিককে পেশাগত কাজে বাঁধা সৃষ্টি ও হেনস্তা করার অভিযোগ স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ী নুর আলম ও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু’কে নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, তিনি আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কাগজে কলমে এক মাস থাকলেও কাজে যোগদান করতে পারেননি কিন্তু প্রায় এক মাস থানায় তাকে দেখা যায়নি, আশুলিয়া থানায় নতুন ওসি সোহরাব আল হোসাইন যোগদান করার খবর পুলিশ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে ২১ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে। এরপর কিছুদিন আগে নতুন ওসি হান্নান সাহেব যোগদান করেছেন, তিনি বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন আশুলিয়া থানার ওসি হিসেবে।

জানা যায়, এর আগে গত (৩ মার্চ ২০২৫ইং) দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ মানিরুল হক ডাবলু। এ সময় থানার কর্মরত (এসআই) অফিসারগণ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। ওসি থানায় আসার পূর্বে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো শুরু করেন, এরপর থানায় ওসি’র দায়িত্ব নিতেই বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার শুরু করে একটি মহল। সেই সত্যতা জানতে চেষ্টা করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। কেউ দাবী করেন যে, এই ওসি ছাত্রলীগ করতেন, কেউ দাবী করেন যে, তিনি ছাত্রদল করতেন, মুহুর্তের মধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হন, জাতি জানতে চায় কে এই মনিরুল হক ডাবলু ওসি? সে যেখান থেকেই আসুক না কেন তিনি এখন বাংলাদেশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা—একটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)। তার ইতিহাস অনেক লম্বা কাহিনী।

সূত্র জানায়, মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু ১৯৭৮সালে ফরিদপুর—রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার বাহাদুরপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি মরহুম আঃ জলিল শেখের ছেলে, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ডাবলু কনিষ্ঠ। মনিরুল হক ডাবলুর বড় ভাই জিয়াউল হক বাবলু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক, মেজ ভাই জহিরুল হক লাভলু বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা, তিনি বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সফল সভাপতি। এবার আসি মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু কেমন মানুষ, ছোট বেলা থেকে স্কুলে সবার প্রিয় ভালো ছাত্র ছিলেন, সর্বশেষ শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাসের মধ্য দিয়ে। এরপর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন অফিসার হিসেবে। এর আগেও তিনি আশুলিয়া থানায় চাকরি করেছেন, তখন শেখ রিজাউল হক দিপু আশুলিয়া থানার ওসি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন এই মনিরুল হক ডাবলু।বিশেষ করে গত (৩ মার্চ ২০২৫ইং) তারিখে মনিরুল হক ডাবলু নতুন ওসি হিসেবে আশুলিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে একটি প্রত্যায়নপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মুসলিম হলের একটি কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদের একটি প্রত্যায়নপত্রও ভাইরাল হয়। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন: কে এই ওসি ডাবলু? তখন এই দুইটি প্রত্যায়নপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করতে অনুসন্ধানে নামে গণমাধ্যম কর্মীরা। উক্ত বিষয়ে প্রথমেই ছাত্রলীগের কর্মী দবিকৃত প্রত্যায়নপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করতে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারের সাবেক এমপি সংসদ সদস্যের সাথে নানা ভাবে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর নামের বানান, দুই জায়গায় দুইরকম, (ছাপানো অক্ষরে লেখা মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু, সিলে লেখা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু, যা খুবই নিম্নমানের, কোনো এমপি এমন মানের সিল ব্যবহার করার কথা নয়।) এরপর ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দাবি করা প্রত্যায়নপত্রের অনুসন্ধান শুরু করলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অফিসের পিয়ন সুমন নামের একজন ব্যক্তি আশুলিয়া থানায় এসে বলেন যে,ওসি মনিরুল হক ডাবলু নাকি ছাত্রলীগ করতেন তার তদন্ত করতে আসছেন, এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা প্রশ্ন করলে ওই সুমন নামের ব্যক্তি বিপাকে পড়েন, তখন ওসি ডাবলু তার কক্ষে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়।

অন্যদিকে গণমাধ্যম কর্মী পরিচয়ে মনিরুল হক ডাবলু’র রাজনৈতিক পরিচয় জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মুসলিম হলের সভাপতি একে এম মেজবাহ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে অনেকেই জানান, ডাবলু ভাই হল কমিটিতে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমরা একসাথে রাজনীতি করেছি, তখন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাই, ডাবলু ভাই ও আমরা এক সাথে রাজনীতি করছি। ২০০১ সালে মহসিন হলের দখলে ছিলো ছাত্রলীগের শফিকরা। তখন ডাবলু আনিস, হিরু আমরা একসাথে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি। আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের প্রত্যায়নপত্রের বিষয়ে তারা বলেন, এসব ভুয়া। ৫ আগষ্টে গণহত্যার ঘটনায় ভুয়া বাদী সেজে একাধিক মামলা করে সায়েব আলী জলিলসহ আরো অনেকে, তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাজে বাধা সৃষ্টিকারী, তাদেরকেও আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী সবার। আশুলিয়া থানায় নতুন ওসি আসলেই ফেসবুকে অপপ্রচার শুরু করা হয় কেন জাতি জানতে চায়। এই অপপ্রচারকারী যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান সচেতন মহল।এদিকে রাজবাড়ীর মনিরুল হক ডাবলু পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় হলো তার বাবা মৃত আব্দুল জলিল মিয়া প্রথমে ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমা শাখার জাগ দলের ও পরে বিএনপি’র সদন্য ছিলেন, ডাবলু’র বড় ভাই মোঃ জিয়াউল হক বাবলু ছিলেন, গোয়ালন্দ পৌর বিএনপি’র সহ—সভাপতি ও গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার জাসাস এর সাবেক সভাপতি। তার মেঝ ভাই মোঃ জহিরুল হক লাভলু গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি (১৯৯১—১৯৯৬ইং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উক্ত ব্যাপারে আশুলিয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু’র সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে লজ্জায় পড়েন আর কোনো বক্তব্য দেননি। এরপর তাকে বদলি করে ওসি সোহরাব আল হোসাইন আসার দেড় মাসের মাথায় চলে যেতে হয়। বর্তমানে আশুলিয়া থানায় যিনি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে রয়েছেন তিনি আশুলিয়াবাসীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন যে, তিনি যেন সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved , sokalerbangla.com
Theme Customized BY LatestNews