1. admin@sokalerbangla.com : সকালের বাংলা :
  2. info.jahid307ulipur@gmail.com : jahid Hossain : jahid Hossain
  3. naiknajmul@gmail.com : Najmul Hossain : Najmul Hossain
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
শিরবাম:
উলিপুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দুই বাস কাউন্টারকে জরিমানা আশুলিয়ায় মাদক সন্ত্রাসী ও জুয়ায় যুবসমাজ ধ্বংসের পথে, থানায় ৯ মাসে ৫ওসি বদলি! বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সতর্কতা ঈদের পরদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট আশুলিয়া থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইনকে প্রত্যাহার করে ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত! ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা হেলাল উদ্দিন রূপকথা জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কায়েম খান উপকূলবর্তী অঞ্চলের পোনা নদীর পশ্চিম পাড়ে জমে উঠেছে সর্ববৃহৎ পশুর হাট কোম্পানীগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হাকিমপুর পৌরসভায় ঈদ উপহারের চাল পেলো ৩০৮১ পরিবার

রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি দরপত্রের ঠিকাদারি নিয়ে অনিয়ম গড়িমসি’র অভিযোগ উঠেছে 

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
মাহাবুব আলম,  রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি সরবরাহের দরপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে,অনিয়ম,গড়িমসি ও কালক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসের ১৮ তারিখে রোগীর পণ্য সরবরাহ,ষ্টেশনারী সরবরাহ ও লিলেন ধোলাই কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।দরপত্র সিডিউল অংগ্রহের শেষ তারিখ ছিল ১ সেপ্টেম্বর, সিডিউল ড্রপের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর। সেদিনেই ১৪ জন ঠিকাদারের কাগজপত্র বাছাই করা হয়। এতে কয়েক জনের কাগজপত্রে ত্রুটি পাওয়া যায়। পরে, ৮ সেপ্টেম্বর বাছাই মূলায়নের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ঘোষনার দিন সকল ঠিকাদার হাসপাতালে উপস্থিত হলেও অজ্ঞাত কারণ দেখিয়ে সেদিন কোন মূল্যায়ন করা হয়নি বলে ঠিকাদাররা জানান। মূল্যায়ন না দেখিয়েই দরপত্রের ফাইল ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন এর কার্য্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফাইলটি সিভিল সার্জনের কায্যালয়ে ১৫ দিন থাকার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালকের অফিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কয়েকদিন পর ফাইলটি পূর্ণ মূল্যায়নের জন্য রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের টিএইচএ,আরএমও, দু’জন মেডিকেল অফিসার, ইউএনও’র প্রতিনিধি ও সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ মোট ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আবারও মূল্যায়ন করে যেন পাঠানো হয় । কিন্তু এই কমিটি পুনরায় মূল্যায়নের কোন মিটিং করেনি, মিটিং ছাড়াই ফাইল পাঠানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে ঠিকাদাররা জানান।
প্রায় দুই মাস আগে রোগীদের মধ্যে খাদ্য ও ষ্টেশনারীর মালপত্র সরবরাহ এবং লিলেন ধোলাই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হলেও এখনো তিনটি কাজের স্ব স্ব ঠিকাদারদের কাগজ বুঝিয়ে না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে ব্যপক অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনেক এক সমাজসেবক বলেল, এই হাসপাতালের প্রতিটি কাজেই অনিয়ম দীর্ঘদিনের এবং চিকিৎসাসেবায় লেগেই আছে অব্যবস্থাপনা, নিউজ করে কি হবে? যেই লাউ সেই কদু।
এ ব্যপারে ওই দরপত্রের ৮ জন ঠিকাদার ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন নুর নেওয়াজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন।
এ নিয়ে ঠিকাদার মাসুদ রানা গত ২৪ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রংপুর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে,আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়তুল্লাহ মেম্বার ও তাঁর জামাই আব্দুল মান্নান একটানা গত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন নামে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদারির কাজ পেয়ে আসছেন বা এটি ধরে রেখেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আবারও ঠিকাদারি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় এ দরপত্রকে ঝামেলা দেখিয়ে সমাধান দিচ্ছেন না বলে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন নুর নেওয়াজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদকে দায়ী করছেন মাসুদ রানাসহ ৮ জন  ঠিকাদার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আরএমও ডা. ফিরোজ আলম জানান, এ বিষয়টির সবকিছু আমারদের টিএইচএ ডা. সামাদ স্যার ডিল করতেছে, আমি শুধু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, নিয়মানুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। গত দুই মাসেও কেন এটির নিষ্পত্তি করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,পূজার ছুটি ও রংপুরের অফিসে যাচাই বাছাই এর জন্য কালক্ষেপণ হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন জানান, নিয়ম নীতি মোতাবেক ঠিকাদারি দেওয়া হবে। এরপরও কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে, আমি পুনরায় ই-রিটেন্ডারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করবো। তাহলে পরেনো দিন ফাইলটি আপনার কার্যালয়ে পড়ে ছিল কেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাইরেক্টর স্যার ঢাকায় ট্রেনিংয়ে ছিল, তাই দেরিতে ফাইলটি পাঠানো হয়েছে। রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন,আমার জানামতে দরপত্র মূল্যায়ন করে অনুমোদনের জন্য রংপুরে পাঠানো হয়েছিল। সামান্য জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সে জটিলতা নিরসন করে দ্রুতই ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved , sokalerbangla.com
Theme Customized BY LatestNews