নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহিদ সাদ আল আফনান, কাউছার হোসেন বিজয় ও ইউনুছ আলী শাওন এর বাড়িতে যান ও পরিবারবর্গের খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।
গত বৃহস্পতিবার সকালে শহীদের বাড়িতে গিয়ে গিয় খোঁজখবর নিচ্ছেন জেলা প্রশাসক।
ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় ঘটনা বলে বিবেচিত। স্বাধীনতা-পূর্ব ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ছাত্রদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯০ সালের আন্দোলনে ছাত্ররা এরশাদ সরকারের পতনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও ছাত্রদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনটি ছিল মূলত স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এ আন্দোলনের মাধ্যমে তারা তৎকালীন সরকারের রাষ্ট্রযন্ত্রের অনেক ভুলত্রুটি জনসম্মুখে তুলে ধরেন। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুরুতে এ আন্দোলন অহিংস ছিল।
কিন্তু পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেপরোয়া হলে ১৫ জুলাই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। অতঃপর শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করে। সহিংসতার মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। যার শেষ পরিণতি ঘটে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে।
৫ আগস্ট পতন ঘটে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী সরকার শেখ হাসিনার। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা এবং ৪৪ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। একথা ভুলে গেলে চলবে না, ছাত্রদের ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রূপ পরিগ্রহ করেছিল। সে সময় এ আন্দোলন আর কোটা সংস্কারের মধ্যে নিহিত ছিল না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কগণ।