1. admin@sokalerbangla.com : সকালের বাংলা :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরবাম:
আশুলিয়ায় তিতাস গ্যাসের ৫ শতাধিক বাসা বাড়ির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন! সাভারে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ৪০ জনকে আটক করেছে পুলিশ! আশুলিয়ায় ৮ বছরের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু-বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার আশুলিয়ায় গাজীরচট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর শুভ উদ্বোধন টানা সপ্তম দিনের মতো কর্মবিরতিতে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মীরা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ আশুলিয়ায় অপরিকল্পিত বাড়ি নির্মাণ-বাড়ির মালিকের গাফেলতিতে ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু! সিরাজগঞ্জে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত এবং স্মারকলিপি প্রদান  প্রেমিকার হাতে প্রেমিকের বিশেষ অঙ্গ কর্তন উলিপুরে ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সময়সীমা বাড়লো ১০৮ বার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০৯ Time View

হেলাল শেখঃ বাংলাদেশের বহুল আলোচিত খ্যাতনামা সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আবারও বাড়িয়েছেন আদালত। এ নিয়ে মোট ১০৮ বার সময়সীমা বাড়ানো হলো।

 

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা র‍্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেন।

 

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তারই সহধর্মিণী রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। যা সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

 

ওই ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি পুলিশ। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি। মামলাটিতে সন্দেহভাজন হিসেবে এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পার হয়েছে ১২ বছর, আর কতো ?

 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ১২ বছর পার হলেও তাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার এখনো স্বপ্নের মতো। মামলার অগ্রগতি নিয়ে কোনো আশা আছে কি না তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। কারণ দিন যত গড়াচ্ছে, ধুম্রজাল ততই বাড়ছে।

 

পরিতাপের বিষয় হলো- মামলাটি নিয়ে শুরু থেকেই চলছে অদৃশ্য এক খেলা। গণমাধ্যমে সাড়া জাগানো জোড়া খুনের মামলাটিতে আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বারবার তারিখ দেন। তবে কোনোবারই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়ে না। আদালত আবারও সময় বাড়ান। আবারো প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থ, আবার বাড়ান সময়। ঠিক এভাবেই চলছে।

 

বলতে অস্বস্তি বোধ হলেও এটাই সত্যি। লজ্জাজনক এই হতাশাজনক চক্র গত ১২ বছর ধরে চলছে। তদন্তকারীরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এর আগে মোট ১০৭ বার সময় চেয়েছেন। এবার তা দাঁড়ালো ১০৮ বারে।

 

এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার হতাশা প্রকাশ করে এই চক্রকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ১২ বছরের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছে। যা রীতিমতো সবার জন্য লজ্জার।

 

এইতো গত সপ্তাহেই মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদে বলেন, “সাংবাদিক দম্পতি হত্যার তদন্ত শেষ করার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়।”

 

তারও আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি আনিসুল হক বলেছিলেন, “সাগর-রুনির খুনিদের খুঁজে বের করতে যদি তদন্ত ৫০ বছর লেগে যায়, তাহলে দিতে হবে।”

 

প্রেক্ষাপট:

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।

 

সেই সময় ফ্ল্যাটটিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছিল তাদের একমাত্র সন্তান মাহির সারোয়ার মেঘ। তার বয়স ছিল তখন মাত্র ৫ বছর। বাবা-মায়ের সেই নৃশংস মৃত্যুর কল্পনা নিয়ে কিশোর মেঘের বয়স এখন ১৭ বছর।

 

সবচেয়ে হতাশার ব্যাপার হলো, হত্যাকাণ্ডের পরপরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। সেই ৪৮ ঘণ্টা এখন ১ লক্ষ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।

 

১০৭ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়িয়ে পুনরায় আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আদালতে এ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। অবশেষে সময়সীমা বেড়ে ১০৮ বারে গিয়ে ঠেকলো।

 

একই ঘটনা আপনার সাথে ঘটলে বিচার পাবেনতো?

আমাদের দেশের গণমাধ্যম সেক্টরটি খুব বেশি নিরাপদ নয়। গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য খুব বেশি শক্ত প্রতিরক্ষা আইন নেই। অবশ্য অদৃশ্যভাবে সাংবাদিকদের হাত-পা বেঁধে দেয়ার জন্য আইন আছে। যার নাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনের মার-প্যাচ সবারই জানা।

 

দেশের অন্যতম দুটি বৃহত টেলিভিশন চ্যানেলের নামকরা দু’জন সাংবাদিক খুন হলেন। তাদের বিচার প্রক্রিয়ার হাল আমরা সকলেই দেখতে পাচ্ছি।

 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, সাংবাদিকতা নেশা পেশা যাদের, তাদেরকে এই পেশা থেকে বিরত থাকা কঠিন। এখন প্রশ্ন-

সাংবাদিকতায় আপনার জীবন নিরাপদতো ?

আপনার সাথে এমনটা ঘটলে আপনি বিচার পাবেনতো ?

প্রশ্ন আরো- আপনি কি সাংবাদিকতায় থাকবেন ? আর কতদিন?

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved , sokalerbangla.com
Theme Customized BY LatestNews